মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষে গণকবরে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সিফাত মেহনাজ ও মুক্তিযোদ্ধাগণ শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ শোক ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধ্জিীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)তরিকুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রনি আলম নূর, সহকারী কমিশনার মো. আবির হোসেন, মেহেরপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নজরুল কবির, মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একইভাবে গাংনীতে ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে আলোচনা
সভা অনুিষ্ঠত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১ টার সময় শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য দেয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদ্দাম হোসেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সোনা, গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল,উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোত্তালিব আলী, গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনসুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনার শুরুতেই শহিদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উপজেলা মাধমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাংনী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান , উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন , বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক,গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কমিটির সেক্রেটারী মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ ।
বক্তারা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতির সূর্যসন্তানদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষপ্রান্তে পক হানাদার বাহিনীর দোসর স্বাধীনতা বিরোধী আল বদর, আল সামস-এর সহযোগিতায় ১০ তাং থেকে ১৪ তাং পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ কওে নিয়ে এসে মোহাম্ম্দপুর আল বদর ক্যাম্পে রাখার পর রায়ের বাজারে নিয়ে তাদের চোখ বেঁধে রাইফেলের বেইনেট দিয়ে খুচিয়ে খুঁচিয়ে পরে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে সরকারী কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,শিক্ষাথীবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ ,সাংবাদিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সবশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।